বড় বড় ফ্রিল্যান্সারেরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা শুনে নাক ছিটকালেও অনেকেই কিন্তু শুরুটা করেছে মোবাইল দিয়ে। আপনিও চাইলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে কি কি করতে হবে, কি কি জানতে হবে, কোথায় কাজ পাবেন সবকিছুই থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে। সাথেই থাকুন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কেনো করবেন?
আসলে কেনো আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটি পুরোপুরি ডিপেন্ড করবে আপনার উপর। তবে হ্যাঁ বেশকিছু ইজি কাজ আছে যেগুলি আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারেন। তাছাড়া সবসময় হাতে ফোন থাকায় ফোনের সাহায্যে করা যেকোনো কাজে আমাদের ভালোই মনোযোগ থাকার সম্ভাবনা থাকে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?
এবার আসি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন সে ব্যাপারে। শুরুতে কাজ পেতে আপনাকে কাজ শিখতে হবে। বর্তমানে ইউটিউব এবং গুগলে প্রতিটি ফ্রিল্যান্স কাজ কিভাবে করতে হয় তার ডিটেইলস দেওয়া আছে। সুতরাং আপনাকে বাড়তি কোনো টাকাই খরচ করতে হবে না। আসুন ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কিছু কাজ নিয়ে এবারে আলোচনা করি:
কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি কি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন? যদি ভালোবাসেন তাহলে আপনি এই শখকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই আর্ন করতে পারেনফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে বেস্ট অপশন। কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরেও আবার অনেক ধরণের কাজ আছে। যেমন:
স্ক্রিপ্ট রাইটিং: ইউটিউবে আপনি যেসব ভিডিও দেখেন সেসব ভিডিও মেক্সিমামই কিন্তু স্ক্রিপ্টেড। তাছাড়া বিভিন্ন কার্টুন বা নাটকের স্ক্রিপ্টও এই ক্যাটাগরিতে পড়ে।
আর্টিকেল রাইটিং: আপনি যে এখন লেখাটি পড়ছেন এই লেখাটি কিন্তু একটি আর্টিকেল। আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারেন৷
কপি রাইটিং: কপি রাইটিং কিন্তু কিছুটা কঠিন। তবে চাইলে আপনিো পারবেন৷ এই কাজটিও ফোন দিয়ে করা যাবে। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন এড কপি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্ট
সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা সবসময় পড়ে থাকেন তারা এই সময়টুকুকে কাজে লাগিয়ে নিজেরাই আর্ন করতে পারেন৷ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চমৎকার একটি অংশ হলো এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্ট।
এই কাজে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো Buffer , Hootsuite, এবং Later এর মত অ্যাপের ব্যবহার জানতে হবে এবং প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ভালো আইডিয়া রাখতে হবে। তবে যাদের সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভালো আইডিয়া নেই তারা ইউটিউব কিংবা গুগলিং করে নিজেকে আরো বেশি দক্ষ করে তুলতে পারেন।
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
অফলাইন এসিস্ট্যান্টের মতোই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের কাজ। অনেকেই অনলাইনে জগতে একসাথে অনেক কাজ করে থাকে। বিভিন্ন বিজনেস নিয়ে কাজ করে। আপনার কাজ হবে যাদের কাজের চাপ বেশি তাদের ছোট ছোট কাজ করে দেওয়া। এই কাজে ৯৯ শতাংশই ফোন লাগে। তবে অনেক সময় পিসিরও প্রয়োজন পড়ে। যা আপনি কাজ নেবার আগে ক্লিয়ার হয়ে নিতে পারেন৷
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে বেশ ভালো পিসি লাগলেও আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ভালো ডিজাইন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্যানভা ইউজ করা যায়। পাশাপাশি কাজে লাগাতে পারেন অ্যাডোব স্পার্কের মতো চমৎকার অ্যাপগুলি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে ঠিক কোন কোন সেক্টরে বা প্ল্যাটফর্মে আপনি কাজ পেতে পারেন। কাজ পেতে নিচের অ্যাপগুলি এক্ষুনি নামিয়ে নিন:
ফাইভার: ফাইভার মূলত সর্বনিম্ন ৫ ডলারের সার্ভিস সেল করে থাকে। এখানে গিগ খুলে ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হয়।
আপওয়ার্ক: সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি হলো এই আপওয়ার্ক। এখানে আপনার কাজের টাইম ট্র্যাক করে আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হবে।
ফ্রিল্যান্সার: ফ্রিল্যান্সারের কাজও একই। এখানে আপনি সুন্দর করে নিজের প্রোফাইল সাজিয়ে রাখবেন। ক্লায়েন্ট এসে আপনাকে কাজ দেবে।
জুম: ক্লায়েন্ট মিটিংয়ের জন্য ভিডিও কিংবা অডিও কনফারেন্সের প্রয়োজন পড়লে আপনি জুম ব্যবহার করতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ: ক্লায়েন্টের সাথে কমফোর্ট জোনে চ্যাট করতে কিংবা প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করতে ব্যবহার করুন হোয়াটসঅ্যাপ।
Trello: Trello একটি জনপ্রিয় প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ৷ যখন আপনি অনেক বেশি কাজ পাবেন তখন কোন কাজ কবে জমা দিতে হবে, কি কি রুলস আছে সবকিছু ম্যানেজ করতে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন৷
Read More Blog:Online income bd 2025
ইতি কথা
আশা করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে উপরোক্ত গাইডলাইনটিই আপনার জন্য যথেষ্ট। আর হ্যাঁ! যারা ভালো পোর্টফোলিও বানাতে চান তারা Wix বা Squarespace এর মতো মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি আপনার এই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জার্নি পুরোপুরি সফল হবে।